এবার খোদ সিলেটেই মিললো এডিস মশার লার্ভার সন্ধান। সিলেট নগর এলাকার কয়েকটি স্থানে এডিস মশার বংশ বিস্তারের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট তথ্য বিভাগের লোকজন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত গ্যারেজ ও আশপাশের বন-জঙ্গলে ফেলে রাখা পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান বের করেছেন তারা। এমন খবরে জনমনে আতঙ্ক আরও বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে প্রতিদিন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, যদিও সিসিক এলাকা আমার কাজের আওতায় পড়ে না। এরপরও মানুষের কথা চিন্তা করে কীট তথ্য বিভাগের টিম দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার প্রজনন স্থল ও লার্ভা সন্ধান পেয়েছেন তারা।
এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে উদ্যোগী হতে সিলেট সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সিসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে গ্যারেজ মালিকদের পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা টায়ার-টিউব পরিষ্কার করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। এরপরও সোমবারের (৫ আগস্ট) মধ্যে ওইসব এলাকায় ‘কম্বাইন্ড অপারেশন’ চালানো হবে।
তিনি বলেন, মশা নিধনে তাদের ৬০ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, যতদিন যাচ্ছে সিলেটে ততই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে আরও ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
২৭ জন হাসপাতাল ছাড়ার পরও ৩৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উল্লেখ করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৭ জুলাই থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১০৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. দেবপদ রায় বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১৫ জন। ওসমানীতে ১৭ জনসহ ৩২ জন রোগী নতুন করে আক্রান্তের তথ্য এসেছে তার হাতে। জুলাইয়ের প্রথম থেকে ওসমানী মেডিক্যালসহ সিলেট বিভাগে ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট নগরের সুবহানীঘাটে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ জ্বর হলেও গত দু’দিনে অন্তত; শতাধিক রোগী ডেঙ্গু টেস্ট করিয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজনের ডেঙ্গু পজিটিভ পেয়েছেন তারা। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বাবদ রোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকা করে নিতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ওই হাসপাতালের কাউন্টারে কর্তব্যরতরা জানান, রোগীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি রাখছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এনইউ/আরবি/