ঢাকা, বুধবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে চা বাগানের ১১ স্থাপনা উচ্ছেদ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৯
সিলেটে চা বাগানের ১১ স্থাপনা উচ্ছেদ  চা বাগানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম

সিলেট: আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চা বাগান এলাকায় নির্মিত দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অন্তত ১১টি দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তার।

 

তবে ওই এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাসকারী অবৈধ দখলদারদের মানবিক বিবেচনায় তাদের বাড়িঘর না ভেঙে সময় দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের বাগান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বাগানে নতুন কোনো স্থাপনা তৈরি না করতে নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশনা অমান্য করে সম্প্রতি বাগানের জমিতে বেশ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। রোববার অভিযান চালিয়ে ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শিল্পপতি রাগিব আলীর দখলে থাকা তারাপুর চা-বাগানের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫ বছর দখলে থাকার পর ২০১৬ সালের ১৫ মে বাগানের সম্পত্তি উদ্ধার করে সেবায়েতকে বুঝিয়ে দেয় সিলেট জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাগানটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ ছিল আদালতের।

সম্প্রতি তারাপুরের ‘দুসকি’ ও ‘মোহাম্মদপুর’ এলাকায় চা ভূমি দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। স্থাপনা নির্মাণ করতে চা বাগান ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বাগানের ভেতর আরও বেশ শতাধিক স্থাপনা রয়ে দাবি সেবায়েত পংকজ গুপ্তের।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।