রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দেওগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেশমী খাতুন (১৭) গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ও স্থানীয় রহমত ইকবাল অনার্স কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রোববার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে এক আত্মীয় মারা যাওয়ার খবর পেয়ে রেশমীর বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন সেখানে যান। আর রেশমী কলেজে ও তার ছোট বোন স্কুলে যায়। বিকেলে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিল রেশমী। এসময় বাড়িতে একা পেয়ে মাদকাসক্ত চাচা শাহাদৎ হোসেন ঘরে ঢুকে রেশমীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। রেশমী ঘটনাটি বাবা-মাকে জানিয়ে দেবে বললে শাহাদৎ তাকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রেশমীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন শাহাদৎ। একপর্যায়ে নিজেই বিচলিত হয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এসময় রেশমীর ছোট বোন স্কুল থেকে ফিরে এ অবস্থা দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে।
প্রতিবেশীরা টের পেয়ে এগিয়ে আসলে শাহাদৎ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লোকজন তাকে ধরে ফেলে গণপিটুনী দিয়ে আটকে রাখেন ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শাহাদৎকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি জানান, রেশমীকে ধর্ষণ করা হয়েছে নাকি ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এমইউএম/একে