ঢাকা, বুধবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ১৬ জেলের মধ্যে উদ্ধার ৫ 

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৯
ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ১৬ জেলের মধ্যে উদ্ধার ৫ 

পাথরঘাটা (বরগুনা): গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে নোঙর করা এফবি জাকিয়া ট্রলারসহ নিখোঁজ ১৬ জেলের মধ্যে আরও ৫ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জেলে। 

তবে বাকি জেলেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত ফিরে আসা জেলেরা। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের।

 

সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার হওয়া ৫ জেলেকে পটুয়াখালীর আলীপুর এলাকায় নিয়ে আসা হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

ফিরে আসা জেলেরা হলেন- আনোয়ার হোসেন মাঝি, ইউসুফ মিয়া, আলমগীর হোসেন, মো. হেলাল ও সেলিম মিয়া। এর আগে সোমবার ভোর ৫টার দিকে গভীর সমুদ্রের মৌডুবির বয়ার সামনে একটি রিং বয়া নিয়ে ভাসতে থাকা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।  

ফিরে আসা জেলেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা গেছে, পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রের পুর্বলাল বয়া এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় নোঙর করা ট্রলারটি ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। এতে ওই ট্রলারের ব্রিজের ওপরে থাকা ৫ জেলে ভাসতে থাকে বাকি ১১ জেলে ওই ট্রলারের ব্রিজের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।  

তারা আরও জানান, ৫ জেলেকে একটি রিং বয়া ধরে সাগরে ভাসতে দেখে পটুয়াখালীর আলীপুরের আব্দুল মজিদের মালিকানা এফবি মজিদ নামের ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালীর আলীপুরে নিয়ে আসে। তারা সবাই অক্ষত অবস্থায় থাকলেও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত দু’দিনে ৬ জেলে উদ্ধার হয়েছে।  

এদিকে ডুবে যাওয়া এফবি জাকিয়া ট্রলারের জেলে মাহমুদ ওরফে মোহাম্মদ হোসেন রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে এফবি আরিফ ট্রলারের সহযোগিতায় পাথরঘাটায় ফিরে আসেন।  

বর্তমানে তিনি পাথরঘাটার মেসার্স মক্কা ফিসের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন। মেসার্স মক্কা ফিসের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান হিরু বাংলানিউজকে বলেন, ফিরে আসা মোহাম্মদ হোসেনকে চিকিৎসা দিয়ে আমাদের তত্ত্বাবধায়নে রাখা রয়েছে। সুস্থ হলেই তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।  

অপরদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এফবি মনোয়ারা ও এফবি নিল সাগর নামে দু’টি ট্রলার এখনো সাগরে রয়েছে।  

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জেলেদের উদ্ধারের জন্য গভীর সমুদ্রে থাকা দু’টি ট্রলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।