গত ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ও ৪ আগস্ট (রোববার) ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পশুহাটে দেখা যায়, সেই দুই দিন সকাল থেকে মাঠে গরু-ছাগল আসতে থাকে। দুপুর পর্যন্ত বিশাল মাঠ ভরে যায়।
বিদ্যালয়টির মাঠে গিয়ে দেখা যায়, তোরাবগঞ্জ বাজারের ইজারাদার মাঠে খুঁটি স্থাপন করে বাজার সাজিয়েছেন। মাঠের সম্মুখভাগে তাঁবু পাতিয়ে করছেন খাজনা আদায়। গরু-ছাগল ব্যবসায়ীরা মাঠের পাশে রেখেছেন খড় ও গো-খাদ্য। বিদ্যালয় মাঠে পশুহাট বসানোর কারণে মাঠে জমেছে ময়লা-আবর্জনা, গোবর ও গো-খাদ্যের স্তূপ। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তর চর পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েসহ আশপাশের পরিবেশ হয়ে পড়েছে অস্বাস্থ্যকর।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় মাঠে পশুহাট বসানোর কারণে হাটের দিন পড়ালেখার পরিবেশ থাকে না। এছাড়াও বেশ কিছুদিন মাঠ খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
অভিভাবকরা বলেন, প্রতিবছর একটি মহল এই মাঠ মোটা অংকের টাকায় ভাড়া দিয়ে পকেট গরম করে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে, অপর দিকে মাঠ নষ্ট হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন বাহার বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তোরাবগঞ্জ বাজারে প্রচুর গরু-ছাগল ওঠে। নির্ধারিতস্থানে সংকুলান না হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে মাঠে হাট বসে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসআর/এইচএ/