ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নদীভাঙন আতঙ্কে বরগুনার ৫০০ পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
নদীভাঙন আতঙ্কে বরগুনার ৫০০ পরিবার

বরগুনা: অনবরত নদীভাঙনের ফলে আতঙ্কে রয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার এক নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের বিষখালী নদী তীরের পাতাকাটা গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। এ পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে এমন ঝুঁকিতে বসবাস করলেও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তরফ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মিলছে না বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বিষখালী নদীর করাল গ্রাস আর নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ায় পাতাকাটা গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে বাজার, বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির এবং অনেক আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে বিষখালী নদীর গর্ভে।

ভয়াল অতীত আরও বেশি আতঙ্কে রাখে পাতাকাটার লোকজনকে।

কথা হচ্ছিলো ওই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কুদ্দুস, এমাদুল হক ও সিরাজ খানের সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে জানান, গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফুলঝুড়ি বাজারের একাংশ, কালী মন্দিরসহ বৈশাখীমেলার মাঠ তলিয়ে গেছে নদীতে।  

তারা বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ে আমরা বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়েছি। এখন বাকি জীবন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতো পারবো কি-না, সে শঙ্কায় রয়েছি। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেই শান্ত বিষখালী নদী অশান্ত হয়ে ওঠে, সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তাই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া নদীপাড়ে বেড়িবাঁধ গড়ে দেওয়া।

বিষখালী নদীর ভাঙন।  ছবি: বাংলানিউজবদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শরীফ ইলিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নদীভাঙনকবলিত দুর্দশাগ্রস্তদের কথা বরগুনার বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দিচ্ছেন না।

এদিকে উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব কোস্টাল এরিয়াস পিপল (ডোক্যাপ) এবং অ্যাকশন এইডের সহযোগিতায় স্থানীয়রা এ নদীভাঙন রোধ ও বেড়িবাঁধ তৈরির দাবিতে বিষখালী নদীর তীরে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাশ বাংলানিউজকে জানান, বরগুনার নদীভাঙনের পরিমাপ করা হয়েছে। শিগগির বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।