ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তদারকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তদারকি বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কাজের তদারকি করা হচ্ছে। সামনে অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প এলাকাগুলোতেও সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তদারকি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি একথা জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অনেক প্রকল্প চলমান।

এসব প্রকল্প এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রকল্প পরিচালদের সঙ্গে কথা বলবো। প্রযুক্তি বসে নেই, আমরা এর সঠিক ব্যবহার করবো।

তিনি বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৯৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। সামনে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। গত বছর এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ। অনেক মন্ত্রণালয় শতভাগের বেশি বাস্তবায়ন করেছে, যেমন- গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। টাকার অংকে বিদায়ী অর্থবছরে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপির ৯৪ দশমিক ১১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। তখন অবশ্য ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব হয়েছিল। আগেরবারের চেয়ে বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।

এডিপি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা টিম হিসেবে কাজ ভালো করেছি। সামনে টিমের তদারকি বাড়বে। নিয়মিত পিডিদের (প্রকল্প পরিচালক) নিয়ে বসবো। পিডিরা সচিবদের অফিসার, তারাও যেন একসঙ্গে বসেন। আইএমইডির (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় তদারকি বাড়াবো। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য, কাজের গতি বাড়ানো।

প্রকল্প সংশোধন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, কোনো প্রকল্প একবার সংশোধন হতে পারে। তবে দুই-তিনবার কাম্য নয়। তিনবার প্রকল্প সংশোধন স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন করলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পে ভূমি ব্যবহারে আরও সতর্ক থাকতে হবে। প্রকল্প এলাকায় বেশি জমি ব্যবহার করা যাবে না। অনেক প্রকল্প বহু আগে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু জমি পড়ে আছে। যেমন, সাভারে রেডিও সেন্টার নির্মাণের কথা বলে জমি নেওয়া হয়েছে।  এ ধরনের প্রকল্প অযৌক্তিকভাবে নেওয়া। ধানের জমি, দু’ফসলা জমি নেওয়া যাবে না। তিনগুণ দাম দিয়েই প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বই আকারে কম্পাইল করবো। এরপরেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সবাইকে যথাযথভাবে মানতে হবে।

এমএ মান্নান বলেন, সিরিয়াসলি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা নির্বাচনী অর্থবছর ছিল। ফলে, তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। নির্বাচনে সময় উন্নয়ন কাজ কেন বন্ধ থাকবে? পৃথিবীর অন্য দেশে নির্বাচনে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) বেগম সাহিন আহমেদ চৌধুরী, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।