মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
তিনি আরও জানান, এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী উবায়দুল্লা একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগটির বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির তদন্ত করছেন। তদন্তের স্বার্থেই জামিরুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে সদর মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী উবায়দুল্লাকে সবগুলো শ্রেণি কক্ষের দরজা খুলতে বলেন এসআই জামিরুল। পরে তারা উবায়দুল্লার পকেট চেক করার নামে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেন। এরপরই জামিরুল তাকে বলেন, তুই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আর কোথায় কোথায় ইয়াবা আছে বল। এরপর পুরো শরীরে পেটাতে থাকে জামিরুল। এক পর্যায়ে তার কানে সজোরে আঘাত লাগলে পর্দা ফেটে যায়। পরে তাকে ছাড়ানোর জন্য ইউপি সদস্য আবু তালেবের মাধ্যমে তার বাবার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে ছাড়া পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসএইচ