মঙ্গলবার (আগস্ট ৬) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো সামিয়ানা টাঙানো হচ্ছে, মাটি খুঁড়ে বাঁশ পোতার কাজ চলছে। তৈরি হচ্ছে গরু রাখার প্যান্ডেল।
গাবতলী গরুর হাটে প্রায় সারাদেশ থেকেই গরু আসছে। কুষ্টিয়া থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি গরু। জেলার মিরপুর, খাজানগর, হুকসা, কুমারখালী, ঝাউদিয়া, হরলা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও রাহিণী থেকে গরু আসছে ট্রাক-ট্রলার ভরে। এছাড়াও হাটে গরু এসেছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, টাঙ্গাইলের লালপুর, মাগুরার আজমপুর অঞ্চল থেকে।
কুষ্টিয়ার খাজানগর থেকে গাবতলীর হাটে গরু নিয়ে এসেছেন কালু ব্যাপারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হাটে গরু এনেছি ১৮টি। এখন তো আর ব্যাপারীদের হাতে ব্যবসা নেই। ব্যবসা চলে গেছে খামারিদের কাছে। যে খামারের মালিকের ১০ কোটি টাকা আছে, সে ব্যাংক থেকে লোন পায় ২০ কোটি। এ কারণেই তাদের হাতে ব্যবসা চলে গেছে। আমাদের সামর্থ্য কম বলেই তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছি না।
তিনি বলেন, তিন বছর ধরে গরুর ব্যবসায় লসে আছি। আগে গরু বিক্রি করে ভালো লাগতো। আগে এক জন এসে পাঁচ-সাতটা গরু কিনতো, এখন একটা গরু কিনতে আসে পাঁচ-সাত জন মানুষ। ধার-দেনা করে এবার ৬০ লাখ টাকার গরু এনেছি। আমার সব গরুই বড় বড়।
মেসার্স জাকারিয়া গাভীর খামারের মালিক মো. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আমরা গাবতলীর হাটে গরু বিক্রি করে আসছি। এবার আমাদের খামার থেকে দু’দিন মিলিয়ে ৬১টি গরু এনেছি। প্রায় আট থেকে নয় মাস আমাদের খামারের ছয় জন রাখাল দিয়ে গরুগুলো পালা হয়েছে। প্রতিটি গরুর খাবারে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। হাটে ৬১টি গরু দেখভালের জন্য রাখা আছে ২২ জন রাখাল।
তিনি বলেন, আমাদের গরুর পেছনে খরচ হয়েছে এক কোটি থেকে সোয়া কোটি টাকা। আশা করছি, এবার দেড় থেকে দুই কোটি টাকায় গরুগুলো বিক্রি করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমএমআই/একে