ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে মাদক চোরাকারবারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে মাদক চোরাকারবারি

ঢাকা: রাজবাড়ীর খানকাপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়া (৩০) পেশায় একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী। অথচ এ ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে আসছিলেন মাদক চোরাকারবারি। দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে নিজের প্রাইভেটকারে পৌঁছে দিতেন মাদকের চালান।

এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সুমন। কাঙ্ক্ষিত মাদক ব্যবসায়ীর কাছে চালান পৌঁছে দেওয়ার আগেই তাকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলভর্তি প্রাইভেটকারসহ সুমন আটক করে র‌্যাব-১। এসময় তার সহযোগী প্রাইভেটকারচালক সজিব হোসেনকেও (৩০) আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জব্দকৃত প্রাইভেটকার থেকে এক হাজার ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। চালানটি চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মাদক ব্যবসায়ী মান্নানের কাছ থেকে এনে উত্তরার এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানার সাত নম্বর সেক্টরের রাস্তা থেকে ফেনসিডিলভর্তি প্রাইভেটকারসহ দু’জনকে আটক করা হয়। আটক সুমনের রাজবাড়ীর খানকানাপুর বাজারে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।

সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চালান পৌঁছে দিতে নিজের প্রাইভেটকার ব্যবহার করতেন সুমন। চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা ফেনসিডিলের চালানটি উত্তরায় এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল। সফলভাবে চালানটি পৌঁছে দিতে পারলেই তিনি এক লাখ টাকা পেতেন।

এর আগে ৮-১০টি মাদকের চালান চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা পৌঁছে দিয়েছেন সুমন। প্রতি চালানে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

আটক সজিব পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রাজবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় রেন্ট এ কারে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত। র‌্যাবের হাতে জব্দ হওয়া চালনটি পৌঁছে দিলে তিনি ২০ হাজার টাকা পেতেন।

এএসপি কামরুজ্জামান বলেন, আটক দু’জনই এর আগে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিলেন। জামিনে বের হয়ে তারা আবারও মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
পিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।