মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে মহানগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে নাগরিক সংগঠন জন উদ্যোগ খুলনা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জন উদ্যোগ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করেন জন উদ্যোগের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মো. খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি এইচএম শাহাদাৎ, নারী নেত্রী এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু, সিলভী হারুণ, মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড মফিদুল ইসলাম, সিপিবির জেলা কমিটির নেতা মিজানুর রহমান বাবু, ন্যাপ নেতা তপন রায়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দিন, সাংবাদিক নেতা রাশেদুল ইসলাম বাবলু, মো. আসাদুজ্জামান রিয়াজ, মো. আশরাফুল আলম, ইয়েস দলনেতা মাহমুদুল ইসলাম, সোনালী প্রতিবন্ধীর ইসরাত আরা হিরা, মহিউদ্দিন আহমেদ, শেখ আব্দুল হালিম, আইনুল হক, শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ঢালী, আগুয়াণ-৭১ এর সভাপতি আব্দুল্লাহ চৌধুরী, নান্দিক একাডেমির জেসমিন আরা, শেখ হেদায়েত হোসেন, রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব, কৃষ্ণা দাস, কণিকা বিশ্বাসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছসেবী ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারীকে নিরাপদে চলাচলের সুযোগ করে দিতে হবে। কোনোভাবে নারী যেন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়। নারী কোনো অপরাধে জড়িত হলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী জেরা করতে হবে। কোনোভাবেই যেন শরীরিক নির্যাতনের শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রেলওয়ে পুলিশ রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থার পরিবর্তে একজন নারীকে থানায় আটকে রেখে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ধর্ষণ করেছে এর চেয়ে আর জঘন্য কোনো কাজ হতে পারে না। তাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তদন্তের সুবিধার্থে অভিযুক্তদের স্বপদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কোনোভাবে যেন আসামিরা এ অভিযোগটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তারা আরও বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণকারীরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণধর্ষণকারীরা যেন কোনো মতে পালিয়ে না যেতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। ধর্ষণের বিচার বিলম্বীত বা উপেক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। পরিবার, কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান আইন ও এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস