ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বরগুনায় ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
বরগুনায় ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

বরগুনা: বরগুনায় ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর পিতৃপরিচয় না দেওয়ায় ধর্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এজন্য আড়াই বছরের ওই শিশুকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে খোরপোষ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জরিমানার তিন লাখ টাকা আসামির কাছ থেকে বরগুনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদায় করে ভিকটিমকে দেবেন বলে রায়ের সময় উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বরগুনার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।



দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আজাহার ঘরামীর ছেলে বেল্লাল হোসেন স্বপন (২৭)। তিনি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক তার রায়ে আরও উল্লেখ করেন- জরিমানার ৩ লাখ টাকা বরগুনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসামির কাছ থেকে আদায় করে বাদীকে দেবেন। একই সঙ্গে আসামি প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে ওই বাচ্চাকে খোরপোষ দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় একই বছরের ১৯ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন বাদী। এতে উল্লেখ করা হয়, আসামি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তারিখে সকাল ১০টার দিকে বাদীর বাবার বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে বাদী গর্ভবতী হয়ে পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তানটির বয়স এখন আড়াই বছর।

বাদী আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এ সন্তানের নাম রেখেছেন আসামি নিজে। আমি তার সংসার করতে চেয়েছি। কিন্তু আসামির মা আমাকে সংসার করতে দেয়নি।

আসামি বেল্লাল হোসেন বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাবো।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।