জরিমানার তিন লাখ টাকা আসামির কাছ থেকে বরগুনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদায় করে ভিকটিমকে দেবেন বলে রায়ের সময় উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বরগুনার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আজাহার ঘরামীর ছেলে বেল্লাল হোসেন স্বপন (২৭)। তিনি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক তার রায়ে আরও উল্লেখ করেন- জরিমানার ৩ লাখ টাকা বরগুনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসামির কাছ থেকে আদায় করে বাদীকে দেবেন। একই সঙ্গে আসামি প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে ওই বাচ্চাকে খোরপোষ দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় একই বছরের ১৯ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন বাদী। এতে উল্লেখ করা হয়, আসামি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তারিখে সকাল ১০টার দিকে বাদীর বাবার বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে বাদী গর্ভবতী হয়ে পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তানটির বয়স এখন আড়াই বছর।
বাদী আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এ সন্তানের নাম রেখেছেন আসামি নিজে। আমি তার সংসার করতে চেয়েছি। কিন্তু আসামির মা আমাকে সংসার করতে দেয়নি।
আসামি বেল্লাল হোসেন বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাবো।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসএইচ