বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। থানায় এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত শুরু করে।
অন্য দু’সদস্য হলেন, কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।
২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ।
ওই নারীর অভিযোগ, সেদিন যশোর থেকে ট্রেনে আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ সদস্য পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন ৩ আগস্ট ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর সেই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমআরএম/এএটি