ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এক হাটের গরু অন্য হাটে জোর করে নেওয়ার দেখা যায়। এই নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নগরের নাইওরপুল এসএমপি কমিশনার কার্যালয়ে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সমন্বয় সভায় এসব নির্দেশনা জারি করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।
এসএমপির নির্দেশনাগুলোর মধ্যে-পশুর হাটে আলাদা পোশাকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নেওয়া যাবে না এবং পশুবোঝাই গাড়ি/ট্রাক পরিবহনে বাধা দেওয়া যাবে না। গরুবোঝাই গাড়ির সামনে ব্যানারে হাটের নাম বড় ও স্পষ্ট করে লিখতে হবে। প্রতিটি পশুর হাটে আলাদা পোশাকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের পাশাপাশি হাটের চারপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া পশুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইটিং ও জেনারেটরের ব্যবস্থা করা, কোনোভাবে হাসিলের টাকা বেশি না নেওয়া এবং হাসিলের কমিশন প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। হাটের নির্ধারিত এলাকার বাইরে গরু রাখা যাবে না এবং রাস্তার ওপর গরু ও ট্রাক রেখে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না।
অজ্ঞান-মলম পার্টি সম্পর্কে সচেতন থাকা ও হাটে আসা ব্যবসায়ীদের সচেতন করা এবং এ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক ব্যানার, পোস্টার লাগানো, যথাসময়ে হাটের বর্জ্য অপসারণ করা, যাতে কোনো আবর্জনা না থাকে।
ব্যাংক, অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা, প্রতিটি পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তে এসএমপি পুলিশের বুথে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনের টাকা পরীক্ষা করে নেওয়া।
তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে বাসা ত্যাগ করলে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবন্ধ করা, প্রয়োজনে বাসা ও অফিসে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করা, দরজায় নিরাপত্তা এলার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা, মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করা।
ঈদের আগে-পরে সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। শেষ মুহূর্তে ট্রেন ও বাসের ভিড় এড়িয়ে চলুন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ট্রেন ও বাসে চলাচল না করা, ট্রেন ও বাসের ছাদে এবং ট্রাকে বিপদজনক অবস্থায় ভ্রমণ না করা। বাস টার্মিনালসমূহে, রাস্তায় ও পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো অপরিচিত ব্যক্তি, অজ্ঞান পার্টির কাছ থেকে কোনো খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ না করা, পুরুষ ও নারী পকেটমার এবং প্রতারক থেকে সর্তক থাকা, রাতে জনবহুল রাস্তা দিয়ে চলাচল করা, রাস্তায় চলাচলের সময় সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী বা টাকা পয়সা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা কিংবা শেষ রাতে বাসস্ট্যান্ডে নামলে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করা, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়া, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে প্রত্যক্ষ করলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
পুলিশ কন্ট্রোল রুম-(২৪ ঘণ্টা খোলা) ০১৭১৩৩৭৪৩৭৫, ০১৯৯৫১০০১০০, ০৮২১-৭১৬৯৬৮। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০৮২১-৭১৮০২৮, ডিবি কন্ট্রোল রুম- ০৮২১-৭২০০৬৬, জরুরী সেবা-৯৯৯, ওসি-কোতোয়ালি-০১৭১৩৩৭৪৫১৭, ওসি-জালালাবাদ-০১৭১৩৩৭৪৫২২, ওসি-এয়ারপোর্ট-০১৭১৩৩৭৪৫২১, ওসি-দক্ষিণ সুরমা-০১৭১৩৩৭৪৫১৮, ওসি-শাহপরাণ (র.)-০১৭১৩৩৭৪৩১০, ওসি-মোগলাবাজার-০১৭১৩৩৭৪৫১৯। পুলিশ কমিশনার-০১৭১৩-৩৭৪৫০৬
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-০১৭১৩৩৭৪৫০৭, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর ওপ্রশাসন) ০১৭১৩-৩৭৪৫০৮, উপ কমিশার (উত্তর) ০১৭১৩-৩৭৪৫০, উপ কমিশার (দক্ষিন) ০১৭১৩-৩৭৪৫১০, উপ কমিশার (ট্রাফিক) ০১৭১৩-৩৭৪৫১১, ডিসি (ডিবি) ০১৭৬৯-৬৯১৩২৭,
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, কামরুল আমিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন), ফয়সল মাহমুদসহ পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, জেলা পুলিশ, জেলা প্রাণিসম্পদ, ইমাম সমিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গরুর হাটের ইজারাদাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এনইউ/এএটি