মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নীলফামারীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট ঢেলাপীর গিয়ে দেখা যায়, নসিমন-করিমন ও হাঁটাপথে গরু আসছে হাটে। তবে হাটে ঢোকার আগেই গরুর দালালরা দাম করে মালিকের কাছ থেকে গরু নিয়ে নিচ্ছেন।
এই জনপদের বেশির ভাগ কোরবানির হাটে দালাল ছাড়া কারো পক্ষে গরু কেনা সম্ভব নয়। এই সিন্ডিকেটটি এতই শক্তিশালী যে, শত চেষ্টা করেও ক্রেতা নিজের ইচ্ছায় গরু কিনতে পারবেন না। এদিকে হাট ইজারাদারও গরুর রশীদ ২৫০ টাকার স্থলে সাড়ে ৩০০ টাকা করে আদায় করছেন।
ধানের দাম নেই। প্রতিবছর উৎপাদিত ফসলে মার খাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে এককভাবে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন তারা। তাই বাধ্য হয়ে কোরবানির জন্য ভাগে গরু কিনছেন অনেকেই। হাটে ৫০ হাজার টাকার নিচে কোরবানি দেওয়ার মতো গরু নেই।
হাটের দালাল কালাম, বাবু, শাহাদাৎ বলেন, আমাদের কোনো পুঁজি নেই। বিক্রেতার গরু দাম করে নিয়ে হাটে বেচে থাকি। এতে মালিকরা খুশি হয়ে কিছু টাকা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
আরএ