বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনালে বেশ কিছু পরিবহনের সামনে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কয়েকটি পরিবহনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দাবি করেন, অ্যারোসল স্প্রে করার বিষয়টি তারা জানতেনই না।
গাড়ি ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেও অ্যারোসল স্প্রে করতে না দেখে রাজশাহীগামী খালেক এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মো. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভিআইপি গাড়িতে স্প্রে করে। আমাগো ‘জাওলি’ গাড়িতে স্প্রে করে না। আমাগো বাস তো ননএসি বাস। গাড়িতে স্প্রে করতে হয় জানতাম না। আজকে জানলাম, কর্তৃপক্ষ বললে স্প্রে করবো। ’বাসটির এক যাত্রী বলেন, ‘আমি রাজশাহী যাবো। গাবতলী থেকে বাসে উঠেছি। এখন পর্যন্ত আমি বাসে স্প্রে করতে দেখিনি। মনে হয় এরা স্প্রে করবে না ‘
উত্তরাঞ্চলগামী আরেক পরিবহন রয়েল এক্সপ্রেসের (এসি বাস) চালক মো. রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে আনার আগে বাসে স্প্রে করেছি। এখন আর স্প্রে করা হয়নি। টার্মিনাল থেকে ছাড়ার আগে বা যাত্রাপথে স্প্রে করা হবে না। ’
এসি ও ননএসি বেশ কিছু বাসের যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাস ছাড়ার আগে বা যাত্রাপথে কোনো প্রকার মশক নিধন করা হচ্ছে না।
ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপের কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সোমবার (৫ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্টদের বাসে অ্যারোসল স্প্রে করার নির্দেশনা দেন। তবে বিষয়টি তদারকির জন্য গাবতলী টার্মিনালে দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/