বুধবার (৭ আগস্ট) ঢাকার অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘দ্য সং কিপার্স’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠী, মানবাধিকার সংগঠন ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক ও সাংবাদিকরা।
জাতিসংঘ থেকে ২০১৯ সালকে ‘আদিবাসী ভাষার আন্তর্জাতিক বছর’ স্বীকৃতি অবলম্বনে প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদিবাসী ভাষা’।
‘দ্য সং কিপার্স’ এর মূল পটভূমি মধ্য অস্ট্রেলিয়ার স্বল্প পরিচিত কিছু গির্জাকে ভিত্তি করে। দুর্গম সেসব এলাকার আদিবাসী নারীদের কাছে অগোচরে চার পুরুষ ধরে লালিত আদিবাসী ভাষা, কবিতা এবং সংগীতই এ তথ্যচিত্রের কেন্দ্রবিন্দু। এ আদিবাসী নারীদের দিয়ে গঠিত হয় ‘মধ্য অস্ট্রেলীয় আদিবাসী নারীদের গায়কদল’। চার পুরুষ আগে জার্মান মিশনারিদের হাত ধরে শেখা বন্দনা সংগীত এ আদিবাসী গোষ্ঠী কীভাবে শত বাধা উপেক্ষা করে আবার জার্মানিতেই পাড়ি জমিয়ে পরিবেশন করে, তা নিয়েই রচিত ‘দ্য সং কিপার্স’। এ ঐতিহাসিক যাত্রাপথে নিজেদের কথা, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও আন্তঃ সাংস্কৃতিক সহযোগিতার খণ্ড খণ্ড বিষয় নিয়েই সাজানো পুরো গল্প।
বিশ্বব্যপী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সম্প্রসারণে অস্ট্রেলিয়া মানবাধিকার কাউন্সিলের অন্যতম স্তম্ভ। বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ মোকাবিলায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি, ‘অস্ট্রেলিয়া এওয়াডর্স’ বৃত্তির আওতায় গত ১০ বছরে ২ শতাধিক আদিবাসীকে উচ্চতর বিদ্যাচর্চায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বৃত্তি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তাছাড়া, ‘আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান স্কলারশিপ অ্যালামনাই’ এর হাত ধরে ১৪ জন আদিবাসীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে আরও দক্ষ করতে সহযোগিতা করেছে দেশটি।
চলতি বছরের ১ জুলাই ‘জাতীয় আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান এজেন্সি’ গঠনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের মধ্যকার সহযোগিতার সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আদিবাসী মালিকানা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, বিভিন্ন দেশের সরকারদের সঙ্গে অর্থবহ অংশীদারিত্ব এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের বিষয়াবলী আরও প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
টিআর/এইচএডি