বুধবার (০৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে মশক নিধন কার্যক্রম ও কীটনাশক অগ্রগতি সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
পড়ুন>> ডেঙ্গুতে প্রাণহানি: ক্ষমা চাইলেন মেয়র আতিকুল
তিনি বলেন, আগে মশার ওষুধ আমদানিতে একটি সিন্ডিকেট ছিল, যা আমরা ভেঙে দিয়েছি।
এসব ওষুধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, এসব ওষুধের নমুনা এনে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রথমে ফিল্ড টেস্ট, ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। আমি টেকনিক্যাল টিমকে বলেছি যে, যারা ওষুধ পরীক্ষা করবে ওষুধ নিয়ে তাদেরই দায় নিতে হবে। ওষুধ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা আমাকে গতকাল রাতে জানিয়েছেন। তাই আজ (বুধবার) ওষুধ মিশ্রণের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে বিতরণ শুরু হবে।
সভায় ডিএনসিসির প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল পরামর্শক ড. মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, আমরা দুই ধরনের ওষুধ এনেছি। মেলাথিয়ন ৫৮% এবং ইসি এবং মেলাথিয়ন ৫% আর এফ ইউ। এসব ওষুধ চীনের নানজিং ইকো ফার্ম বায়োটেকনোলজি লিমিটেডের থেকে কেনা হয়েছে।
এবিষয়ে মেযর আতিকুল ইসলাম বলেন, ওষুধ নিয়ে আসা কিন্তু সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না। আমরা আনতেও চাই না। আপদকালীন সময়ের জন্য এটা করা হয়েছে। আমরা চাই এটা সবার জন্য উন্মুক্ত এবং সহজ হোক। আমরা আপাতত ৪ টন ওষুধ এনেছি যা দিয়ে ২০-২৫ দিন চলবে। আরও ওষুধ আসার প্রক্রিয়ায় আছে।
ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজনন স্থল খুঁজে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
তিনি বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে ৯ সদস্যের একটি সেল করা হয়েছে। তাদের সাথে স্কাউটস ও বিএনসিসির সদস্যরাও থাকবেন। বাড়িতে গিয়ে এডিস মশার প্রজনন স্থল খুঁজে দেখবে। যদি পাওয়া যায় তাহলে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে। কিছুদিন পর আবার ফলো আপ করা হবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে জরিমানা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এমএ