বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন।
এর মধ্যে কলেজছাত্র অনিককে অপহরণের পর খুন ও মরদেহ গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার ছাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দীনকে (২৫) ফাঁসি এবং সদর উপজেলার গৌরীচন্না এলাকার নাজমুল (২৬) ও থানাপাড়া এলাকার রুবেলকে (২৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সালাউদ্দীনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণ ও খুনের ১৭দিন পর অনিকের গলিত মরদহে বরগুনার সদর থানা সংলগ্ন পরিত্যক্ত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আসামি সালাউদ্দিন এবং নাজমুল জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় থানাপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন অনিক। এরপর অপহরণকারী সালাউদ্দীন অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায়ের কাছে মোবাইল ফোনে দুই
দফায় প্রথমে দুই লাখ ও পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে তার বাবাকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় যেতে বলে অপহরণকারীরা। কিন্তু টাকা নিয়ে আমতলী যাওয়ার পর অপহরণকারীদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অনিকের বাবা। পরে জিডিটি অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের মামলায় পরিণত হয়। এ মামলায় পুলিশ সালাউদ্দীন, নাজমুল ও রুবেলকে
অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হলেও অনিকের পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের প্রত্যাশা ছিলো, এ মামলার সব আসামির ফাঁসির আদেশ হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাশ ও আবদুর রহমান নান্টু বলেন, মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এজন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচ