বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।
র্যাব জানায়, বোরকা পরিহিত এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোরকা পরিহিত ওই নারীর শিশু মেয়ে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুটি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যায়। সেখানে ভিকটিম ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাসপাতালে তাদের নিরাপত্তা বাড়ায়। এরপর আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দুইদিন চেষ্টার পর মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলামসহ (৪৫) ৬ জনকে আটক করা হয়। ফজলুর রহমান নেত্রকোনা কেন্দুয়া সরাপাড়া এলাকার মৃত রিয়াজউদ্দিনের ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, শিশুটি রাতের বেলায় বিভিন্ন প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে কান্নাকাটি করতো। তাই স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার জন্য শুক্রবার (০২ আগস্ট) ভোরে শিশুটির বাবা চাঁদমারি এলাকায় বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমানের কাছে নিয়ে যায় তাকে। এসময় ইমাম ফজলুর রহমান কৌশলে শিশুটির বাবাকে আগরবাতি ও মোমবাতি আনার জন্য দোকানে পাঠায়। এর পরে শিশুটিকে নিজের রুমে নিয়ে হাত বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর বাসায় ফেরার পর শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে তারা বাবা-মা বুঝতে পারেন সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে শিশুটি তার বাবা-মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তারা মসজিদের গিয়ে বিষয়টি মুসল্লিদের জানালে ইমামের পক্ষের লোকজন তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে গিয়েও ইমামের লোকজন শিশুটিসহ তার বাবা-মাকে অপহরণের চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় শিশুটির পরিবার র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে র্যার-১১ এর একটি আভিযানিক দল ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজলুর রহমান ও তার অনুসারী রমজান আলী, গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহী হবি, মোতাহার হোসেন ও শরিফ হোসেন আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
ওএইচ/