এসময় তারা কালোবাজারে বিক্রির জন্য ঈদের ফিরতি ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া, স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে পেনশন গ্রহণকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে ১শ’ টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, খুলনা রেলস্টেশনের অভিযুক্ত প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে সঙ্গে স্টেশন মাস্টার মানিক লাল সরকারের বিরুদ্ধেও রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত স্টাফদের কাছ থেকে একশ’ টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকায় সুপারিশ করা হবে।
সূত্র জানায়, স্টেশন মাস্টার মানিক লাল সরকার টিকিট অটো ব্লক রেখে কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খুলনা রেলস্টেশনের নানা অনিয়মে যুক্ত। একইভাবে প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদির বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার কারণে খুলনায় কখনোই স্বাভাবিকভাবে ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমআরএম/একে