বুধবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোতেজা বিবি কালাই উপজেলার মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামে মোজাহার আলী ও নুরনবী, রেজাউল, মোফাজ্জাল গং এর মধ্যে প্রায় ৫ বিঘা জমি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছে। বর্তমানে জমিগুলো মোজাহার আলীর দখলে রয়েছে। সবশেষ বুধবার দুপুরে মোজাহার আলী তার দুই ছেলেকে নিয়ে ওই জমিগুলোতে আমন ধান রোপণের জন্য আইল কাটতে যায়। তা দেখে প্রতিপক্ষের লোকজনও জমি দখল করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এমন ঘটনা শুনে সেখানে মোজাহারের স্ত্রী খোতেজা বিবিসহ বেশ কয়েকজন নারী উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে নুরনবী বাহিনীর লোকজন খোতেজা বিবির ছেলে খলিলুর রহমান ও লুৎফর রহমানকে বেদম মারধর করতে থাকে। এ সময় তিনি দুই ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে নুরনবীর লোকজন তাদের কোদাল দিয়ে আঘাত করলে ৩ জনই গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে খোতেজা বিবির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় কালাই থানা পুলিশ প্রতিপক্ষের মৃত লোকমানের স্ত্রী নুরবানু বেগম এবং রেজাউলের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে আটক করেছে।
নিহত খোতেজা বিবির স্বামী মোজাহার আলী বলেন, জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আর আদালত ওই জমিগুলো আমার দখলে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও নুরনবী, রেজাউল ও মোফাজ্জাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার স্ত্রীকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে এবং দুই ছেলেকেও গুরুতর আহত করেছে। তারা হত্যাকারী। আমি স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচ