বুধবার (৭ আগস্ট) উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটক আবদুর রাজ্জাক মলুহার গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় লেগুনা চালক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই কিশোরী মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নানার বাড়ি থেকে নাজিরপুর উপজেলায় ফিরছিল। এ সময় তালুকদার মুল্লুক খেয়াঘাটে যাওয়ার জন্য সে রাজ্জাকের লেগুনায় উঠে। রাজ্জাক কিশোরীকে খেয়াঘাটে না নিয়ে জনতার হাট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১০টার দিকে তাকে খেয়াঘাটে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অপর একটি লেগুনায় উঠিয়ে দেওয়া হয়। সে লেগুনার চালক মাসুম ও হেলপার রমজান ঘাটে কোনো খেয়া না পেয়ে ভিকটিমকে খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে পুনরায় ধর্ষণ করে। সকালে তাকে ওখানে রেখে লেগুনা চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরের দিকে লেগুনা চালক রাজ্জাককে ইলুহারের জনতার হাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমকে কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী বলে মনে হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর ধর্ষণের প্রথম অভিযুক্ত লেগুনা চালক রাজ্জাককে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি বাকিদের আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমএস/এইচএডি