বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ওই দুই নবজাতককে বেবিহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়কের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন থেকে সেখানেই বেড়ে উঠবে তারা।
সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দুই শিশুর মধ্যে শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ফাহিমা বরিশাল নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা এক বাকপ্রতিবন্ধীর গর্ভে জন্ম নেয়। আর কুলসুমের জন্ম হয় পিরোজপুর হাসপাতালে। সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধী মা শিশুটিকে জন্ম দিয়ে পালিয়ে যান। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে শাবনুর।
সমাজসেবা অধিদফতর বরিশালের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উজিরপুর উপজেলা থেকে নিরাপদ আবাসনে পাঠানো হয় দুই প্রতিবন্ধী নারীকে। তাদের মধ্যে বাকপ্রতিবন্ধী নারীটি পাঁচ দিন আগে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। নবজাতকের নাম রাখা হয় ফাহিমা। প্রতিবন্ধী মায়ের পক্ষে নবজাতককে লালন-পালন সম্ভব না হওয়ায় ফাহিমাকে বরিশাল বিভাগীয় বেবিহোমে হস্তান্তর করা হয়। এখন থেকে সেখানেই বড় হবে শিশুটি। তবে, কেউ যদি আইনি অভিভাবক হতে চান, তাহলে আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
পিরোজপুর জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা জাকির হোসেন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিন আগে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে শাবনুর নামে মানসিক বিকারগ্রস্ত এক নারী কন্যাসন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পরে মায়ের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদফতরকে জানানো হলে আমরা আদালতে যাই। পিরোজপুরের শিশু আদালত নবজাতক কুলসুমকে বরিশাল বিভাগীয় বেবিহোমে লালন-পালনের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক শিশুটিকে বেবিহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়কের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানেই বেড়ে উঠবে কুলসুম।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় বেবিহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ফাহিমার জন্ম সাত মাস বয়সে হওয়ায় সে কিছুটা অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তার চিকিৎসা করা হবে। আর, কুলসুম পুরোপুরি সুস্থ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমএস/একে