স্কুলছাত্রীর সেই অভিযোগ পাওয়ার একদিন পর বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে জেলার আশুগঞ্জের ইউএনও মো. নাজিমুল হায়দার ভ্র্যাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত বখাটে ওসমান ভূঁইয়াকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও নাজিমুল বাংলানিউজকে জানান, ওই স্কুলছাত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে আমার কার্যালয়ে হাজির হতে বলি।
স্কুলছাত্রী মোমেনা আক্তার জানায়, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে সন্তুষ্ট। আমি আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। এই বিষয়ে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মোমিনা আক্তার। গত চার বছর আগে তার বাবা দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন। সেই থেকে তার পরিবার নানা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ সুযোগে উপজেলার বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূঁইয়ার বখাটে ছেলে ওসমান প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। ওসমানের পরিবারের কাছে এ বিচার চাওয়ায় ওই বখাটে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘোষণা দেন। কয়েকদিন আগে বখাটের পক্ষ থেকে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম, সজিব ভূঁইয়া ও আকবর ভূঁইয়া, মলাই ভূঁইয়া এবং শাহ আলম ভূঁইয়া ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার মাকে মেয়েকে ওসমানে সঙ্গে বিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।
এদিকে, এ বিয়ের খবর শুনে স্কুলছাত্রী মোমিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে জেলার সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে বড় ভগ্নিপতি জাবেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শনিবার (৩ আগস্ট) বখাটে ওসমান সেখানে গিয়ে মোমিনাকে ধরে আনার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে গত সোমবার (৫ আগস্ট) আশুগঞ্জের ইউএনও ও সরাইল উপজেলার ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করে স্কুলছাত্রী মোমিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
আরআইএস/