সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অতিরিক্ত কোচ মেরামত করে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব কোচের সর্বশেষ চালান বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের অধিকতর সেবা দিতে এ বছর ৪০টি রেলওয়ে ক্যারেজ (কোচ) মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪০টির। কারখানার নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত ওই কোচগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। শেষে ৪০টি জায়গায় ৫০টি কোচ মেরামত করে ফেলে কারখানাটি। মেরামত হওয়া সর্বশেষ ৩টি কোচ রেলওয়ে পরিবহন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে বুধবার।
সরেজমিনে রেলওয়ে কারখানায় গেলে দেখা যায়, কারখানার পেইন্টশপে চলছিল রং প্রলেপের কাজ। ওই শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ক্যারেজ শপ হ্যাভি রিপিয়ারিং শপ, বগি শপের কাজ শেষে তৈরি কোচগুলো পেইন্ট শপে আনা হয়। এখানে চলে কোচগুলোর রংয়ের কাজ। আমরা নিপূণভাবে ওই কোচগুলোতে রং করি। এরপর বুঝিয়ে দেই কর্তৃপক্ষকে। পরে তা পরিবহন বিভাগকে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় তিন হাজার ১৭১ জন লোকবলের বিপরীতে রয়েছে ৯৭৩ জন শ্রমিক কর্মচারী। এ সীমাবদ্ধতায় বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা দুরূহ ব্যাপার। তবুও অসাধ্য সাধন করেছেন কারখানার শ্রমিক প্রকৌশলীরা। মেরামত হওয়া কোচগুলো রেলওয়ের বিভিন্ন সেকশনে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনে জুড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া এসব কোচ দিয়ে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে চলবে দু’টি স্পেশাল ট্রেন। যদিও স্পেশাল ট্রেনের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ১৫টি কোচ ইতিমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে।
এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করেছি। অতিরিক্ত কোচ মেরামতে সক্ষম হয়েছি। এসব দিয়ে ঈদযাত্রা অনেকটা নির্বিঘ্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ