ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পুবাল বাতাসে ইলিশের মিছিল

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
পুবাল বাতাসে ইলিশের মিছিল পুবাল বাতাসে ইলিশের মিছিল। ছবি: বাংলানিউজ

পাথরঘাটা (বরগুনা): গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর পুবালী বাতাস। এমন অবস্থা দেখলেই উপকূলীয় জেলেদের মধ্যে এক অন্যরকম আনন্দের বন্যা হয়ে যায়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে একে বলা হয় ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পুবাল বাতাস হলে বলা হয় ‘ইলিশের বাতাস’।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পুবাল বাতাস বইছে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায়।

জেলেদের তথ্য মতে, এ ধরনের বৃষ্টিকেই মূলত ইলশেগুড়ি বৃষ্টি বলা হয়।

বৃষ্টি ও পূবাল বাতাস আবহাওয়া পুরোপুরি ইলিশের জন্য উপযোগী। এ সময়টায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে।  

উপকূলীয় জেলেরা জানান, মৎস্য বিভাগের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইলিশের ভরা মৌসুম হচ্ছে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু জুনের মাঝামাঝি থেকে ইলিশের মৌসুম শুরু হয়।  

সকাল থেকেই উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার  আকাশে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পুবাল বাতাস বইছে। এ কারণে জেলেদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পুবাল বাতাস দেখে অনেক ট্রলার সাগরে যাওয়ার জন্য বাজার সদাই নিয়ে ঘাটে রয়েছে। কিন্তু সাগরে প্রচণ্ড রকমের ঢেউ এবং সর্তক সংকেত থাকায় সাগরে যেতে পারছেনা। পাথরঘাটা দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটসহ বিভিন্ন খালে নোঙর রয়েছে কয়েকশ ট্রলার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে সতর্ক সংকেত জারি করার আগেই এসব ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে।

কথা হয় মৎস্যজীবী জেলে আলমগীর হোসেন, আনছার মাঝি, আবদুল্লাহ মাঝি, নাসির মাঝির সঙ্গে। তারা বলেন, পুবাল বাতাস এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেই সাগরে মাছ বৃদ্ধি পায় এবং জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ে। এ সময়টা জেলেরা সাগরে বেশি বেশি ট্রিপ দিয়ে থাকে। তারা আরও বলেন, আমরা বুধবার পুবাল বাতাস দেখেই বাজার সদাই করে রেখেছি, কিন্তু সতর্ক সংকেত থাকায় সাগরে রওনা দিতে পারছি না।    

বিএফডিসির মক্কা ফিসের মালিক মহিউদ্দিন খান হিরু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আড়তদাররা অনেক ট্রলারেই বাজার সদাই দিয়েছি, কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সাগরে পাঠাচ্ছিনা। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং ধারণা মতে সাগরে এখন প্রচুর মাছ রয়েছে।  

বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গভীর সমুদ্র উত্তাল এবং আবহাওযা খুবই খারাপ, এ কারণে নতুন করে সাগরে ট্রলার পাঠাচ্ছিনা। তবে কিছু সংখ্যক ট্রলার এখনো সাগরে রয়েছে।  

এদিকে সন্ধার পর থেকেই পাথরঘাটায় প্রচণ্ড বাতাস বইছে, সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩০১  ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।