ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩শ’ ভেড়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩শ’ ভেড়া

ঈশ্বরদী (পাবনা): ভেড়ার মাংস অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় এবারে ঈদুল আজহায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় কোরবানির জন্য সাড়ে ৩শ’ ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও কোনো রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক ছাড়াই পারিবারিকভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এগুলো।

বুধবার  (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চলতি বছর এ উপজেলায় কোরবানির পশু প্রস্তুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অন্যান্য পশুর পাশাপাশি ভেড়া পালন নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটে ২টি প্রাণিসম্পদ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এবারে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর মধ্যে গরু-৭ হাজার ৪৫০, মহিষ-২৯৩, ছাগল-১১ হাজার ৯০১ এবং ভেড়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’।

লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, জিয়াউল হক জিয়া বাংলানিউজকে জানান, কয়েক বছর ধরে ছাগল-গরু-মহিষ পালনের পাশাপাশি শখের বশে দুই-একটি করে ভেড়া পালন শুরু করছেন অনেকে। লাভজনক ও রোগবালাই কম হওয়ায় লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে দিন দিন ভেড়া পালন বাড়ছে। কেউ খামার করেছেন, আবার পারিবারিকভাবে ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই। এ বছর শুধু এই ইউনিয়ন থেকেই ৩০ লাখ টাকার ভেড়া বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন অনেকেই।   ভেড়া।  ছবি: বাংলানিউজঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার গ্রামের ভেড়া খামারি কামরুল হাসান সোহেল বাংলানিউজকে জানান, ১০ বছর আগে শখ করে একটি ভেড়া (গাড়ল) পালন শুরু করেন তিনি। এখন তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭৫টি ভেড়া রয়েছে। প্রতিবছরই প্রায় ৫ লাখ টাকার ভেড়া বিক্রি করেন তিনি। এভাবে ভেড়া বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। বাড়ির আশপাশের খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে ভেড়াগুলো।

ছাগলের চেয়ে ভেড়ার রোগবালাই কম হয়, খাবারও কম লাগে। চরে ঘুরে ভেড়া যে খাবার খায় তাতেই তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।  

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার চরাঞ্চলে প্রতি বছর ভেড়া পালনের সংখ্যা বাড়ছে। জায়গা, খাবার, সময় সবই কম লাগে এবং লাভ দ্বিগুণ বলে অনেকই ভেড়া পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ভেড়া পালন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও সাহায্য করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে ভেড়ার জন্য টিকা এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর চরাঞ্চলগুলোতে এখন বাণিজ্যিকভাবে ভেড়া পালনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। অন্য সব পশু পালনের পাশাপাশি পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা মেটানো ছাড়াও  আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই। পুঁজি কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় ভেড়া পালনে ঝুকছেন অনেকেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।