বুধবার (০৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ও সদরপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা ট্রলারে করে গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলে পদ্মার মধ্যে এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডুবোচরে আটকে গেলে ট্রলার থেকেই ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে বিষয়টি শিবচর থানা পুলিশকে জানানো হলে ট্রলার এবং শিবচর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
একপর্যায়ে শিবচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেনসহ নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পদ্মায় অভিযান চালায় ট্রলারটি উদ্ধারে।
এর আগে দুপুরে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল আটকে থাকা ট্রালার উদ্ধারে পদ্মার বিভিন্ন স্থান খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত ও ঢেউ থাকায় ট্রলার নিয়ে নদীর বেশি গভীরে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।
পরে বিকেলে বাল্কহেড (বড় বালুবাহী ট্রলার) নিয়ে ট্রলারটির খুঁজে নামে সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল। দীর্ঘক্ষণ পদ্মার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে চরজানাজাত সংলগ্ন দুর্গম ডুবোচর থেকে গরুবোঝাই ট্রলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা।
শিবচরের ওসি আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মার এক ডুবোচর থেকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। এসময় ট্রলারের ২৫ ব্যবসায়ী ও গরুগুলোকে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
টিএ/