বুধবার (৭ আগস্ট) রেলের ঈদ সেবার প্রথম দিন অনেকটা সময়মতোই ছেড়েছে ট্রেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এসে সেই শিডিউল ধরে রাখতে পারছে না।
তবে রেল কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদযাত্রায় প্রচুর যাত্রীর চাপ থাকায় ট্রেনের গতি যেমন কম থাকে, তেমনি প্রতি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি লাগছে। এজন্য মূলত শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ভোর ৬টা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেনি ট্রেনটি। পৌনে তিন ঘণ্টা দেরি করে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একইভাবে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিট। প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি করে ট্রেনটি সকাল সোয়া ৮টায় কমলাপুর ছেড়েছে।
চিলাহাটিগামী নীলসাগর সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও পৌনে ১১টার দিকে কমলাপুর ছেড়েছে। একইভাবে মহুয়া এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেসও দেরি করে ছেড়েছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী রবিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেক কষ্ট করে ট্রেনের টিকিট কেটেছি। কিন্তু যাত্রা বেলায়ও দুর্ভোগ কষ্টকর।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে গতি কম ও স্টেশনে যাত্রী বেশি থাকায় ওঠা-নামা করতে সময় বেশি লাগে। এজন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে ট্রেনের যাত্রা দেরিতে না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
টিএম/আরবি/