বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার সবচেয়ে বড় পশুহাট গাবতলীতে ঢোকে ‘লাল বাহাদুর’। আসে শেরপুর নখলার বানেশ্বরদী গ্রাম থেকে।
আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার পরিবারের সবাই মিলেই ‘লাল বাহাদুর’কে লালন-পালন করে বড় করেছি। আমি আর আমার ছেলে বেশি দেখ-ভাল করতাম। লাল বাহাদুর দেশি জাতের গরু। কোনো প্রকার মোটাতাজাকরণ কারসাজি করা হয়নি। এর মাকে গত ঈদুল আজহায় আমরা কোরবানি দিয়েছি।
‘লাল বাহাদুর’র খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আমিনুল জানান, গরুটিকে বেশি মৌসুমী সবজি খাওয়ানো হয়। যেমন প্রতিদিন একটি করে বিলাতি লাউ, পাঁচ কেজি মিষ্টি আলু, ভুষি পাঁচ কেজি, খড় ও খৈল। এছাড়া প্রতিদিন ৩০ কেজি করে ঘাস খাওয়ানো হয়। এজন্য প্রতিদিন যায় প্রায় ৫শ’ টাকা।
আমিনুল বলেন, ‘লাল বাহাদুর’কে দু’টি ফ্যানের নিচে রাখা হতো। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করা হতো ও গরম থেকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী গোসল করানো হতো।
‘লাল বাহাদুর’র ওজন প্রায় ৩২ মণ জানিয়ে তিনি বলেন, শেরপুরে বেশি দাম ওঠেনি। পাইকাররা দাম বলছিল ৫-৬ লাখ টাকা। এই দামে বিক্রি করবো না বলেই ভালো দামের আশায় গাবতলীতে এনেছি। গরুর দাম ১২ লাখ টাকা চাইছি।
উৎসুক লোকজন ‘লাল বাহাদুর’কে দেখার জন্য ভিড় করলেও বুধবার হাট চলা পর্যন্ত কেউ বিক্রেতার পছন্দের দর হাঁকায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/