শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের ভালকা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন মণ্ডল নবাবগঞ্জ উপজেলার চককরিম গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
আহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার চককরিম মনোহরপুর গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে সাজু (২৫), একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (২৮), ইসলামপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিন (৬০), বড়আড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৫), বড়আড়া কানাহার গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৪০), মঞ্জু আরা বেগম (৩৫), একই এলাকার মঞ্জিলা বেগম (৬৫), রঘুনাথপুর গ্রামের আজুফা বেগম (৫০), একই এলাকার সাহেব আলী (৬৫) ও জব্বার আলী (৫৭)। এসময় জজকোর্টের নাজির, জারিকারক ও ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে সাজু মণ্ডল, খোরশেদ আলম ও সাহাবউদ্দিনের শরীর গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
নিহত লিটনের পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিশের ছোড়া গুলিতে লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাকে প্রথমে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক লিটনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, উপজেলার বড়আড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের সঙ্গে লিটনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে বিরোধীয় জমির ডিগ্রি পান রফিক উদ্দিন। নিম্ন আদালতের আদেশ বলে রফিককে জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে প্রতিপক্ষ লিটন দলবল নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা চালায়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশের গুলিতে লিটন গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি-না, তা বলতে পারছি না।
এদিকে লিটনের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ভালকা আড়া এলাকার ৮ বিঘা জমি দীর্ঘদিন তাদের দখলে রয়েছে। হঠাৎ ওই জমি পুলিশ নিয়ে এসে রফিক দখল করতে এলে লিটন বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ গুলি করলে লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এসএইচ