শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, দুপুরে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমলেও বিকেল থেকে আবারও বাড়তে থাকে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ ও স্পিডবোটেই ছিল ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী।
এছাড়া স্পিডবোটগুলোতেও ছিল ধারণ ক্ষমতার চেয়েও তিন/চারজন বেশি যাত্রী।
এদিকে, স্পিডবোটে শিমুলিয়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। ১৩০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং লঞ্চে ৩৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৪০ টাকা।
যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট খালি অবস্থায় শিমুলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট সর্বত্রই যাত্রীদের রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে নৌযানগুলোতে।
স্পিডবোট যাত্রী চামেলী আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ২০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে স্পিডবোটে। গাদাগাদি করে যাত্রী উঠাচ্ছে। একটু ভাড়ি ব্যাগ থাকলে ব্যাগের ভাড়া দিতে হচ্ছে।
অপর এক যাত্রী বলেন, স্পিডবোটে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হচ্ছে। পদ্মা স্বাভাবিক থাকায় তেমন সমস্যা না হলেও বিষয়টা ঝুঁকিপূর্ণ।
অপরদিকে, লঞ্চ যাত্রীরা জানান, লঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকার মতো জায়গা নেই, এমন অবস্থা। প্রতিটি লঞ্চেই ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী বহন করছে। ভাড়াও নিচ্ছে বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, যেহেতু যাত্রীরা বাড়ি ফিরছে এখন। তাই কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নৌযানে কোনো চাপ নেই। শিমুলিয়া থেকে আসা যাত্রীদের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নামিয়ে খালি লঞ্চগুলো শিমুলিয়া পাঠানো হচ্ছে। এদিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের চাপ কমাতে কাওড়াকান্দি ঘাটও ব্যবহার করা হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। কোথাও ভাড়া বেশি বা অন্য কোনোভাবে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯’
এনটি