ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঝালকাঠির হাটে জমজমাট কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
ঝালকাঠির হাটে জমজমাট কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি হাটে উঠানো হয়েছে কোরবানির পশু

ঝালকাঠি: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠিতে কোরবানির পশুর জমজমাট বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে হাটগুলোতে। দুপুর থেকে জেলার হাটগুলোতে যেমন ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিক্রিও।

এদিকে হাট ঘুরে জানা গেছে, ভারতীয় গরু কম থাকায় অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেকটাই চড়া।

যদিও এ বিষয়ে বিক্রেতাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বছর গোখাদ্য, পরিবহন ব্যয় সবকিছুই বেড়েছে। তাই গরুর দাম বেশি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো অযৌক্তিক দাম চাওয়া হচ্ছে না।

গরু ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, তিনি ও তার ভাই মিলে ঝালকাঠি শহর ও সদর উপজেলার বিনয়কাঠীর সুগন্ধিয়া হাটে বিক্রির জন্য ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন। এসব গরু ২ বছর আগে গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে নিজেদের খামারে লালন-পালন করেছেন। প্রাকৃতিক নিয়মে মোটা-তাজা করেছেন। গরুগুলোর পেছনে যে ব্যয় হয়েছে তারপর সামান্য কিছু লাভ ধরে দাম চাইছেন। বেশ কয়েকটি গরু বিক্রিও করেছেন। তবে আজ ও আগামীকালের মধ্যে সব গরু বিক্রি হয়ে যাওয়ার আশা করেন তিনি।

অপরদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নের সুগন্ধিয়া হাট বরিশাল সদরের সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় এ হাটের বেশিরভাগ ক্রেতাই বরিশাল শহরের।

এ হাটে গরু কিনতে আসা শাহিন জানান, বরিশাল শহরের হাটগুলোতে বেশ ভালো গরু উঠেছে। তবে দাম একটু চড়া। তাই শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বরিশাল শহর ও সদর উজেলার চরমোনাই হাটে গিয়েছিলাম, কিন্তু সাধ্যের দামে গরু মেলাতে পারিনি। তাই আজ সুগন্ধিয়ার হাটে এসেছি। এখানে দাম একটু কম হলেও অন্যসব হাটের কাছাকাছিই দাম বলা চলে।

এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট বসেছে ঝালকাঠি শহরের গুরুদম, সদর উপজেলার সুগন্ধিয়া, নলছিটির চায়না মাঠ ও রাজাপুরের বাঘরি মাঠে।  

বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটগুলোতে মাঝারি আকারের গরুর আমদানি বেশি। তবে গৃহস্থ ও চরে লালন-পালন করা ছোট গরুরও আমদানি রয়েছে। আবার বড় গরু নেই বললেও ভুল হবে, তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। এসব গরুর দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা মূল্য পর্যন্ত হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। আবার ৫০ হাজার টাকা মূল্যের নিচে যে গরু পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে চরে লালন-পালন করা গরুর সংখ্যাই বেশি।

আর হাটগুলোতে ছাগলের আমদানি থাকলেও এখনো সেখানে বেচা-বিক্রিতে গতি আসেনি।

ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, গতবছর কোরবানিতে ৫০ হাজার ২৯০ পশু এ জেলায় জবাই করা হয়েছে। এ বছর ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলেও ৫৫ হাজারের মতো গরুর চাহিদা রয়েছে। হাটগুলোতে অসুস্থ ও কৃত্রিমভাবে মোটাতাজাকরণ পশু বিক্রি বন্ধে প্রাণিসম্পদ বিভাগের নজরদারি রয়েছে।

এদিকে পশুর হাটকেন্দ্রীক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।

বাংলা‌দেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।