ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে চামড়া পাচাররোধে একাট্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
সিলেটে চামড়া পাচাররোধে একাট্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটে চামড়া পাচাররোধে একাট্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সিলেট: সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চল সিলেট। ভারতের সঙ্গে সিলেটের প্রায় ২শ কিলোমিটার সীমান্ত বিস্তৃত। আর সুনামগঞ্জ মিলিয়ে ৩০২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা। তাই প্রতিবার কোরবানির ঈদ এলেই সীমান্ত ঘেঁষা এ অঞ্চল দিয়ে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করা হয়।

এবাররে কোরবানির ঈদকে ঘিরে অতি মুনাফালোভী কিছু সিন্ডিকেট প্রতিবছর কোরবানি পশুর চামড়া পাচারে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এজন্য সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাই পথ বেছে নেয় তারা।

যদিও বিগত বছর দু’য়েক থেকে প্রশাসনের তৎপরতায় চামড়া পাচার অনেকাংশে কমে এসেছে। এরপরও আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাই চামড়া পাচাররোধ এবারও জিরো-টলারেন্স নীতিতে একাট্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

দেশ থেকে একটি চামড়াও পাচার হতে দেওয়া যাবে না, প্রশাসনের এমন হুঁশিয়ারিতে আস্থা রাখছেন ব্যবসায়ীরাও। ফলে ব্যবসায়ীরাও চামড়া পাচার নিয়ে শঙ্কিত নয় এবারও।

পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সমন্বয় সভায় চামড়া পাচার প্রতিরোধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর থাকবে।

 এ বিষয়ে বিজিবি সিলেট সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মিসবাহ উদ্দিন রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জের ৩০২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। আক্ষরিক অর্থে সিলেট সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করলেও পাচার হয় না। কেননা, সিলেট থেকে কোনোক্রমে ওপারে গেলেও সেটা পরিবহণও কষ্টসাধ্য। ওপারের লোকজনও তা গ্রহণ করবে না। তারপরও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় ৫৭টি বিওপির জওয়ানদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মোটকথা চামড়া পাচাররোধ জিরো-টলারেন্স দেখাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।    

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের পর কাঁচা চামড়া যাতে পাচার হতে না পারে, এজন্য প্রতিটি থানা পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। চামড়া পাচার ঠেকাতে সাদা পোশাকেও পুলিশ মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরাও চামড়া পাচারের চিহ্নিত পথগুলো টার্গেট করবে কর্তব্য পালন করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলার সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ প্রতিবেশী দেশ ভারতের। সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সঙ্গে রয়েছে সীমান্ত সংযোগ। সীমান্ত বেষ্টিত হওয়াতে সিলেট অঞ্চল থেকে প্রতি কোরবানির ঈদে চামড়া পাচারে তৎপর হয়ে ওঠে ‘মৌসুমি’ ব্যবসায়ীরা। অতি মুনাফারলোভী পাচারকারীরা কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাতকৃত চামড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে থাকেন কৌশলে।

অবশ্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিলেটের বাইরে থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী গরু বিক্রির টাকা দিয়ে চামড়া কিনে নেন। কিছুটা প্রক্রিয়াজাতের পর সেই চামড়া সিলেটের বাইরে ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ অন্য জেলার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে পাচার করেন। যে কারণে চামড়া সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।