শুধু মুন্সিগঞ্জের যাত্রীরাই নন, রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে যাওয়া মাওয়াঘাটের বাসগুলোতেও নেওয়া হচ্ছে ৭০ টাকার নিয়মিত ভাড়ার স্থলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
ঈদের আগের দিন যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় বা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হলেও যেনো দেখার কেউ নেই।
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রোববার (১১ আগস্ট) সকাল থেকেই গুলিস্তানে মাওয়াঘাট বা মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকাল ১১টা নাগাদ গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের কোনায় মুন্সিগঞ্জগামী বাসগুলো সারি করে দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই ফুটপাতে টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা টিকিট কাটছেন, নিয়মিত ভাড়া ৬০ টাকা হলেও টিকিটে ছাপানো ৮০ টাকা। ১০০ টাকার নোট দিয়ে ২০ টাকা ফেরত চাইলেই বলা হচ্ছে ঈদে ১০০!
এছাড়াও মুন্সিগঞ্জ দিঘির পাড়ের রুটে অতিরিক্ত ৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
মুন্সিগঞ্জগামী বাসের স্টাফ কালু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় একটু বেশি ভাড়াই দিতে হয়। ঈদে বাসের খরচও বেশি। ভাড়াও বেশি হয়।
দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরাও গুলিস্তান থেকে মাওয়াঘাট যাওয়ার জন্য দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া গুনছেন। ইলিশসহ আনন্দ পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাস মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে তখন যাত্রী তুলছিল। টিকিট না দিলেও ‘একশ একশ’ করে ডাক ছাড়ছিলেন বাসের স্টাফরা। যাত্রীরা দু’একজন দামাদামি করেও দাম কমাতে পারছিলেন না।
শরীয়তপুরের মহসিন ঈদের আগের দিন বাড়ি যাওয়ার জন্য এসেছেন। মহসিনসহ একাধিক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত ৭০ টাকা ভাড়া। এখন ১০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। দেখার যেনো কেউ নেই!
ইলিশ পরিবহনের স্টাফ কাঞ্চন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ২০০ টাকা করে ভাড়া নিয়েছি। এখন যাত্রী কম তাই ১০০। বেশি ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের সময় সবাই একটু বেশি দেবে!
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ