রোববার (১১ আগস্ট) রাত ৮টায় নগরীর বৃহত্তম পশুর হাট গাবতলী ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারের অধিকাংশ ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।
রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরের বাসিন্দা তানভীর হাসানকে প্রায় দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের একটি লাল ষাঁড় কিনে বিজয়ীর হাসি দিয়ে হাট থেকে বের হতে দেখা যায়। তার কাছে গরুর দাম জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার গরুর দাম কম। তার কেনা গরুটি দেখিয়ে বলেন এটা মাত্র ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি। গতবার এমন আকারের গরু ৭০ হাজার টাকায় কিনেছিলাম।
পুরান ঢাকার আলু বাজারের বাসিন্দা পাপ্পু হাসান প্রায় ৭ মণ ওজনের ষাঁড় কিনেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। তিনিও গরুর দাম কম বলেই জানান।
অপরদিকে কুষ্টিয়া সদরের খাজা নগর থেকে ১৮টি গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল আলম নামে এক খামারি। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। তবে আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে পারেননি। প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া হাটের খরচ সবকিছু মিলে তার প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
লোকসানে গরু কেন বিক্রি করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই খামারি জানান, বিক্রি না করে বাড়ি নিয়ে গেলে আরও বেশি লোকসান হবে। কারণ অনেক ধারদেনা আছে সেগুলো পরিশোধ করতে হবে। ফেরত নিলে ট্রাক ভাড়াসহ আরও ২০ হাজার টাকা লাগবে। তাই লোকসান হলেও বিক্রি করে দিয়েছি।
অন্যদিকে হাটে বড় বড় গরু রাখার জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, রাজাবাবু, কালো হাতি, বিগবস, যুবরাজসহ প্রায় সব বড় গরু অবিক্রীত অবস্থায় আছে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায়।
কালো হাতি নামে গরুর মালিক জামালপুর সদরের মো. শামসুল হক জানান, তার ৪১ মণ ওজনের গরুর দাম করা হয়েছে চার লাখ ৭০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, বীর বাহাদুর নামে বড় গরুটি মাত্র ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছেন। কারণ আগামীকাল ঈদ এবং তার গরু বাড়ি ফেরত নিয়ে যাওয়ার টাকা নেই। তাই তিনি লোকসান করেই গরুটি বিক্রি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
আরকেআর/এএ