মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বর্জ্য অপসারণ অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য সিটি করপোরেশন অপসারণ করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মেয়র।
তবে এ হিসেবের মধ্যে নেওয়া হয়নি বিভিন্ন হাটের বর্জ্য। হাটের তুলনায় পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রাধান্য দেওয়াতে বেশকিছু হাটের বর্জ্য এখনও বাকি রয়ে গেছে। তবে সেগুলোও দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে দাবি করা হয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার আড়াই লাখেরও বেশি পশু কোরবানি হয়। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দুই হাজার ৪০০ কর্মীসহ নয় হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োজিত ছিল। সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেন। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৭, ১১, ৩, ৩১ ও ১৭ (আগে পরিষ্কারের ভিত্তিতে) ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। আর মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সব অঞ্চল তাদের এলাকা কোরবানির পশুর বর্জ্য শূন্য বলে আমাদের অবহিত করে।
বর্জ্য অপসারণ করা প্রথম তিনটি ওয়ার্ডকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
অন্যদিকে এবার সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার আগের থেকে বেশি হয়েছে দাবি করেন আতিক।
তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে আগের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিয়েছে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির সংখ্যা ও মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদাহরণ দিয়ে আতিক বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে ৪০০টি পশু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি স্থানে প্রায় ৭০টি পশু জবাই করা হয়। এসব ওয়ার্ডে চার থেকে দশটি পর্যন্ত গাড়িতে করে নাগরিকদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হয়।
অন্য যেকোনোবারের তুলনায় এবার বর্জ্য অপসারণ দ্রুত হয়েছে দাবি করে এর জন্য নগরবাসীদের এবং সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯, আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা
এসএইচএস/আরবি/