শিশুর বাবা ও তার পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে শিশুটির মা বলছেন দুর্ঘটনা।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিমে) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদের দিন সন্ধ্যায় নগরের উত্তর কাউনিয়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ সিয়াম নামে একটি শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিয়াম ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের আতাহার আলী খানের ছেলে। সিয়াম উত্তর কাউনিয়ায় তার গৃহপরিচারিকা মা আসমা বেগমের সঙ্গে থাকতো।
সিয়ামের খালা মনি আক্তার জানান, দাম্পত্য কলহের জেড়ে আতাহার আলী খানের সঙ্গে তার বোন আসমা বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে আসমা তার ছোট ছেলে সিয়ামকে নিয়ে ফারুক নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে কাউনিয়ায় এলাকায় বসবাস করে আসছিলো।
তিনি আরও জানান, সোমবার সিয়ামসহ স্থানীয় তিন শিশু বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করছিলো। এসময় দুই শিশু এসে তাদের জানায় সিয়াম পানিতে ডুবে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা কয়েকজন ছুটে গিয়ে পুকুর থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে সিয়ামের মৃত্যু হয়।
তবে সিয়ামের বাবা আতাহার আলী খান অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে সিয়ামের মা জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় আইনি সহায়তার দাবি করেন তিনি।
ববরিশাল নগরের কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কবির বাংলানিউজকে জানান, শিশুটির মৃত্যু নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/