যাত্রীরা বলছেন, জরুরি প্রয়োজন থাকলেও এতদিন ছুটি না মেলায় তারা যেতে পারেননি। এখন ঈদ, শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ লম্বা সময় পাওয়ায় পরিবার নিয়ে তারা ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
পাসপোর্ট যাত্রী শিরিন বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতে যেতে চাই। ঈদে কয়েকদিনের ছুটি পাওয়ায় এখন ভারতে বেড়াতে যাচ্ছি।
ভারতগামী যাত্রী পৃতম রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটি কলেজে শিক্ষকতা করি। পরিবারের কয়েকজনকে ভাল ডাক্তার দেখানো দরকার। এতদিন ছুটি না পাওয়ায় যেতে পারিনি। এখন লম্বা ছুটি পেয়ে ভারত যাচ্ছি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ইমিগ্রেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও কাস্টমস ইমিগ্রেশনের সব শাখা খোলা রয়েছে। অন্য সময়ের চায়ে এখন যাত্রীদের যাতায়াত বেশি। তারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন এজন্য প্রয়োজনীয় জনবলও রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের (ওসি) আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন সাধারণত ৩-৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যায়। এখন ঈদের ছুটিতে তা বেড়েছে। ঈদের আগের দিন ১১-১৩ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন ১৮ হাজার ১৮৬ জন যাত্রী। এদের মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী রয়েছে ১৬ হাজার ৯১০ জন, ভারতীয় এক হাজার ২৬৩ জন ও অনান্য দেশের রয়েছে ১৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এনটি