বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কের আচমিতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা ও অটোরিকশার চালক জামাল মিয়া (৩০), কিশোরগঞ্জের হাওরের ইটনা উপজেলার ভয়রা গ্রামের শামু মিয়ার ছেলে তোফাজ্জ্বল মিয়া (২২) ও একই এলাকার মুসলিম মিয়ার ছেলে উমর ফারুক (১৮)।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ভয়রা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল কাদির (৩০), একই গ্রামের বিশ্বেশ্বরের ছেলে পরিমল (২২), একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সিরাজ উল্লাহ (৫০), একই উপজেলার ডুইয়ারপাড় গ্রামের রজব আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কটিয়াদী হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে কিশোরগঞ্জের চামড়াবন্দর থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভৈরব যাচ্ছিল। পথে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের আচমিতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিপরীতে দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে সিএনজি আটোরিকশা চালকসহ ৭ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ৪ জনকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তিনজনকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সিএনজিচালক জামালসহ তিনজনকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কটিয়াদী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬১২ ঘণ্টা, ১৫ আগস্ট, ২০১৯
আরবি/এসএইচ