এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন ও তার ছেলে নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পরপরই শাহজাহান কলমাকান্দা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শাহজাহানের ভাতিজা ফজলুল ও প্রতিবেশী যুবক শরাফত একে অন্যের সঙ্গে করমর্দন করতে গিয়ে ঝগড়ায় জড়ান।
জানা যায়, করমর্দন করার সময় একজন অপরজনকে হাতে জোরে চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জনকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠান।
কিন্তু ঝগড়ার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যায় শরাফত তার লোকজন নিয়ে ফজলুলের চাচা শাহজাহানের মনোহারি দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দোকানের পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামালের ক্ষতি হয়।
এসময় হামলার শিকার হন সামুছুল হকের স্ত্রী রুমা আক্তার ও শাহজাহানের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার। সামুছুল ও শাহ্জাহান দুই ভাই। আহত অবস্থায় দুই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সুফিয়ার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এএ