শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) সন্ধ্যার পরও যখন শ্রাবণধারায় বৃষ্টি পড়ছিল আকাশ চুয়ে তখন শহরের সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। ষড়ঋতুর অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর বর্ষাঋতুর বিদায়ে বর্ষার গান, কবিতা ও নৃত্যে মুগ্ধ হন আগত দর্শকরা।
এর আগে সন্ধ্যায় পৌর মেয়র ফজলুর রহমান ও নাট্যকার আব্দুল মতিনের সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
মনোমুগ্ধকর নৃত্য, গান আর বর্ষাবন্দনার সুমধুর আবৃত্তি পরিবেশনে বাইরের ঝিরি বৃষ্টির আবহেও উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে শত শত দর্শকশ্রোতার মধ্যে। একে একে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনার পর হঠাৎ মঞ্চে আসেন সংগীত শিল্পী পান্না দে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মানুষটিকে সামনে থেকে শুনতে পারার আনন্দে সবাই নড়েচড়ে বসেন। ‘এই স্বর্ণালী সন্ধ্যা’র সুরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
তার আগেই মমিতা সিনহা, ডোরা প্রেন্ট্রিস, মৃত্তিকা সিনহা মিতু, সঞ্চিতা সিনহা, পার্থ সারথী কর, প্রত্যুষ তালুকদার, রোহিত রায়, ঈশিতা রায়, সুস্মিতা সিনহা,স্বর্ণা চন্দ, প্রিয়তা চৌধুরী মনি, প্রজ্ঞালাবণী দে, সঞ্জিত সিংহ ধ্রুব, রণজিৎ দত্ত জনির সুরে সবাই মেতে ছিলেন।
নেপাল ভাস্কর, হাসান আহমদ, পিন্টু দেব, মো. কুতুবউদ্দীন, রনি সিংহের জাদুকরী বাদ্যযন্ত্রের তালে যেমন গান জমেছিল, তেমনি নৃত্যও। প্রাপ্ত প্রীতম, দেবযানী রায়, অভিজিৎ কুণ্ডু কর্মকার, লাভলী সিনহা, প্লবতা ভৌমিক ও কাব্য রায়ের নৃত্য ছিল নজরকাড়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এএ