শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তোড়জোড় শুরুর মধ্যেই মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে রাত দেড়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা সম্ভব হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, পানি সংকটের পাশাপাশি সরু গলির কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। অনেক দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি ছেটানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্লাস্টিকের পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিলো। আগুন লাগার পর পাইপগুলো গলে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং মুহূর্তেই পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বস্তির প্রায় সবগুলো ঘরই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাঁশের মাচার উপর বিশেষ ব্যবস্থায় ২-৩তলা টিনের ঘরগুলোতে কিছুই পুড়তে বাকি নেই। আগুনের তীব্রতায় অনেক স্থানে টিন-লোহার আসবাবগুলোও বেঁকে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে পোড়া প্লাস্টিকের পাইপের অবশিষ্ট অংশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও প্লাস্টিকের পাইপে গ্যাস সরবরাহের কথা জানিয়েছেন।
বস্তির বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, বস্তিতে তার সাতটি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি রান্নাঘর। যেখানে গ্যাসের চুল ছিলো। পুরো এলাকাতেই প্লাস্টিকের পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হতো।
আগুন লাগার উৎপত্তিস্থলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বস্তির উত্তর দিক থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরা এলাকায় ছড়ায়া গেছে। কেমনে লাগছে সেইটা কনফার্ম জানিনা। আগুন লাগার খবরে সবাই জানডা লইয়া কোনমতে বের হইছে। ঘরের কিছুই নিতে পারে নাই।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বস্তির পুরো এলাকাতেই প্লাস্টিকের গ্যাস লাইন ছিলো। যে কোনোভাবে আগুন লাগার পর প্লস্টিকের গ্যাস লাইনগুলো গলে যায়। এটাও আগুন দ্রুত ছড়ানোর অন্যতম কারণ।
আগুন নেভাতে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান সমস্যা বস্তির এন্ট্রি পয়েন্ট একটা এবং সরু গলির কারণে বস্তি পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যায়নি। যার ফলে ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরগুলো কাঁচা এবং ঘরগুলোর মধ্যে কোনো সেপারেশন ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
পিএম/জেডএস