ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘ডেঙ্গুকে দুর্যোগ বলবো না, তবে দুর্যোগেরই সামিল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
‘ডেঙ্গুকে দুর্যোগ বলবো না, তবে দুর্যোগেরই সামিল’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছুঁয়ে গেলেও ডেঙ্গুজ্বরকে এখনও দুর্যোগ বলছে না সরকার। তবে এটা দুর্যোগেরই সামিল বলে মনে করেন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় স্কাউট ভবনে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডেঙ্গু প্রতিরাধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সরকারের পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আরও চারটি সংস্থার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ডেঙ্গু এখনও যে অবস্থায় আছে আমরা দুর্যোগ বলবো না।

তারপরও এটার ব্যাপকতা দুর্যোগেরই সামিল। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যেভাবে আমাদের সব দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি, আমরা জনবল নিয়ে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একযাগে কাজ করে সহযোগিতা করবো।
 
নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশকে টার্গেট করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমাদের আবর্জনা সরানোর বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। আবর্জনা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবস্থাপনা করলে মশা নিধন করা সম্ভব। তবে শুধু ঢাকাকে মশা মুক্ত করবো, সারাদেশ ডেঙ্গু আক্রান্ত থাকবে- এতে মুক্তি পাবো না। তা না হলে সারাদেশ থেকে ডেঙ্গু আবার ঢাকায় আসবে। কাজেই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল অনুষ্ঠানে জানান, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন। মারা গেছে ৪০ জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাত হাজার ৭১৮ জন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ হাজার ২৪৩ জন।  
 
ডেঙ্গুর এ ভয়াবহতার মধ্যে মহামারি বা দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করেছে বিভিন্ন সংগঠন।  

স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সফল দেশগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থপনার পদ্ধতি এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে পারবো।
 
এডিস মশার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী পাঠ্যসূচির কারিকুলামে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।
 
তিনি বলেন, কারিকুলামগুলো… গরুর রচনা পড়াইয়া আমার কতোটুকু লাভ হবে, তার চেয়ে এডিস মশা কী জিনিষ সেটা শেখানো এবং এডিস মশা কোথায় জন্ম হয় তা জানানো দরকার। ছোটবেলা থেকে যদি এগুলো শেখানো হয়, জীবনে প্রয়োজনীতা আছে এমন বিষয়গুলো কারিকুলামে থাকলে অসুবিধা কোথায়? আমি কোন রচনা পড়াবো আর কোন গল্প পড়াবো এ সিদ্ধান্তগুলো আমার মনে হয় সঠিকভাবে নিতে হবে। ‘আমরা এডিস মশা মোকাবিলা করবো, অন্যান্য মশাও মোকাবিলা করে ঢাকা শহরকে হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো একটা দৃষ্টিনন্দন সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করবো। ’
 
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম মশা নিধনে তার পরিকল্পনার কথা জানান।
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।