শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ।
মন্ত্রী বলেন, শোক দিবসের আলোচনার এটাই প্রকৃষ্ট স্থান। রূপপুরের এ মহা কর্মযজ্ঞকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ ভেবে কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই আছেন, যারা একাত্তর দেখেননি এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মধ্যে ছিল রূপপুর প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ নতুন প্রজন্মকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ এখানে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বলেন, রূপপুর প্রকল্প বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের স্লোগানে নিহিত ছিল। এ প্রকল্প নিউক্লিয়ার টেকনোলজি উন্নয়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্রে প্রবেশের পাসপোর্ট। আর এ পাসপোর্ট নিয়েই বাংলাদেশ উন্নতরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।
ড. সৌকত আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. এম শফিউল্লাহ, রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট পরিচালক ইটুপিলভ, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মফিজ।
প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলোক চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী হাসান বশির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এসএইচ