রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতে সিআর মামলাটি (নং ২০৮/১৯) করেন।
মামলার বাদী পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগ হিসেবে জনস্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
এ বিষয়ে আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চুক্তির আলোকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগ। জেলা পরিষদের আইন ১৯৮৯ এর ২৩ (খ) ধারার অধীনস্থ এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কামাল হোসেন বদলি ও পদায়নের ফলে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ আগস্ট সকাল ১১টায় জেলা পরিষদের কোনো যোগদানপত্র ছাড়া অফিস দখলের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, কামাল হোসেন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও গুজব ছড়িয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। তাছাড়া তিনি পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন লঙ্ঘন করে জোরপূর্বক দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় জন্য তাকে আইনি পন্থায় বিচারের আওতায় আনতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
তবে মামলার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেনের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর আগে গত ১১ জুলাই কামাল হোসেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদানের দিন মামলার বাদী জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও তার সঙ্গীদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন মর্মে অভিযোগ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট, ২০১৯
এডি/এইচএডি