সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত দু’জন হলেন- কাথরা এলাকার ইয়াকুব আলী মণ্ডল (৬০) ও তার শ্বশুর নূরুল হক ওরফে নূর মোহাম্মদ (৮০)।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ওই বাড়িতে বিস্ফোরণে ওই তিনজন দগ্ধ হন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে কাথরা মণ্ডলবাড়ি এলাকায় ইয়াকুব আলীর বাড়িতে গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে ঘরের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ওই ঘরে থাকা ইয়াকুব আলী, আকলিমা খাতুন ও নূরুল হক দগ্ধ হন। এসময় ইয়াকুব আলীর ছেলে স্বপন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় ওই তিনজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকলিমার মৃত্যু হয়। এরপর সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ইয়াকুব আলী ও তার শ্বশুর নূর মোহাম্মদের মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদের শরীরের ২৫ শতাংশ, ইয়াকুব আলীর ১০০ শতাংশ ও আকলিমা খাতুনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ইয়াকুব ও নূর মোহাম্মদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আকলিমার মরদেহ তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জাকারিয়া খান জানান, গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে ঘরের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় কেউ আগুন জ্বালাচ্ছিল অথবা বৈদ্যুতিক সুইচ দেওয়ার সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে। এতে তারা তিনজন দগ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এজেডএস/আরএস/আরবি/