মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.) জানান, ঈদযাত্রায় সড়ক পথে ১৯৯টি দুর্ঘটনায় ২৫০ জন নিহত এবং ৭৬৫ জন আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের মধ্যে বাস ৬৬টি, মোটরসাইকেল ৬২টি, ট্রাক ৩৩টি, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ভ্যান ও ১৪টি মাইক্রোবাস এবং নছিমন ২৬টি, ভটভটি এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৬১টি গাড়ি চাপায়, ৭৪টি সংঘর্ষে, ৩০টি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এবং অন্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা হয়।
তিনি আরও জানান, ঈদযাত্রায় ৬ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বহুল প্রচারিত ১৮টি জাতীয় দৈনিক ছয়টি আঞ্চলিক দৈনিক এবং ১০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিংয়ের মানসিকতা নগর পরিবহনের দূরবর্তী রুটে চলাচলসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, চালকদের সড়কে নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া, চালকদের বিশ্রাম ও কর্ম ঘণ্টার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নসহ সড়ক দুর্ঘটনারোধে ১৭টি সুপারিশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামস উদ্দিন, বুয়েটের অধ্যাপক কাজী শাহনেওয়াজসহ যাত্রী, বাস মালিক পরিবহন শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
আরকেআর/আরআইএস/