ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘মেয়র আসছে, দোকান সরাও’

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
‘মেয়র আসছে, দোকান সরাও’

ঢাকা: সকালে উচ্ছেদ। কিন্তু বিকেলেই ফের বসে যায়। কয়েক ঘণ্টাও ধরে রাখা যায় না ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বসা অবৈধ দোকানগুলো। 

বিশ্ব মশক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢামেক হাসপাতালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পূর্ব ঘোষিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।  

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষে ঢামেক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত দোকান উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।

এ কার্যক্রম তদারকি করেন স্বয়ং ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন।

তবে মেয়র আসার আগেই ওই এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানিদের বলতে শোনা যায়, ‘এই… মেয়র আসছে, দোকান সরাও, দোকান সরাও… তাড়াতাড়ি…’। একথা বলেই তাদের একে অপরকে সতর্ক করতে দেখা যায়।  

তৎক্ষণাৎ সরানোও হয় ঢামেক হাসপাতাল সংলগ্ন স্থাপিত প্রায় কয়েকশ’ দোকান। পরে বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয় ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ডিএসসিসি এর ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢামেক হাসপাতালের বাগান গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র সাঈদ খোকন।

এ সময় সাংবাদিকরা মেয়র সাঈদ খোকনকে বলেন, সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করেপোরেশনের পক্ষ থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঢামেক হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন অবৈধ দোকান, যেখানে এডিস মশার বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন?

যার উত্তরে সাঈদ খোকন বলেন, ঢামেক হাসপাতালের আশপাশ ও ফুটপাতে যেসব দোকান-পাট রয়েছে, এগুলো আমি কতবার উচ্ছেদ করেছি তা আমি নিজেও বলতে পারব না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে উচ্ছেদের কয়েক ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকালে উচ্ছেদ করে গেলে বিকেলেই আবার এসব দোকানপাট বসছে। কয়েক ঘণ্টা আমরা ধরে রাখতে পারি, এর বেশি কিন্তু পারি না।  

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম।

তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য কমপক্ষে ১৫-২০ দিন আগে পুলিশ রিকুইজিশনের জন্য আবেদন করতে হয়। কারণ পুলিশ নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। সব আয়োজন শেষে আমরা যখন পুলিশ পাই, তখনই এ অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই, এত আয়োজনের মধ্য দিয়ে যখন আমরা উচ্ছেদ করি, এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের দোকান-পাট বসানো হয়।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি স্থানীয় প্রশাসন অথবা স্থানীয় পুলিশ এ বিষয়ে তদারকি করতো, তাহলে হয়তো এমনটি হত না। এছাড়া সিটি করপোরেশনের যদি নিজেস্ব পুলিশ থাকতো, তাহলে এ বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করা যেত।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ কার্যক্রমে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনসহ হাসপাতাল ও ডিএসসিসি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এজেডএস/এসএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।